নীলফামারী সদর উপজেলার রামগঞ্জ আকাশকুড়ি গ্রামের পারিবারিক কবরস্থান থেকে একযুগ পর কবর খুঁড়ে হত্যাকাণ্ডের শিকার আবু বকর সিদ্দিকের দেহাবশেষ (নমুনা) সংগ্রহ করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) দুপুরে আদালতের নির্দেশে দেহাবশেষ (নমুনা) সংগ্রহ করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানজীর ইসলাম, নীলফামারী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সজীব সাহা, নিহতের ছেলে লিটন রহমান ও সদর উপজেলা জামায়াতের আমীর আবু হানিফা শাহ।
আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী দেহাবশেষ সংগ্রহের পর সেগুলো রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হয়েছে। ফরেনসিক রিপোর্টের ভিত্তিতে মামলার তদন্তে অগ্রগতি আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
পুলিশ জানায়, নিহত আবু বকর সিদ্দিকের ছেলে লিটন রহমান গত বছর নীলফামারী আমলী আদালতে ২০২ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, ২০১৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর তার বাবাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয় এবং তখন ঘটনাটিকে স্বাভাবিক মৃত্যু হিসেবে চালিয়ে দেওয়া হয়।
আবু বকর সিদ্দিকের ছেলে লিটন রহমান সাংবাদিকদের বলেন, আমার বাবাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল। এই ঘটনার মূল হোতা ছিলেন তৎকালীন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নুর। আমি দীর্ঘদিন ধরে বিচার চাইছি, আজ কবর খোঁড়ার মাধ্যমে নতুন করে বিচারিক প্রক্রিয়া শুরু হলো। দ্রুত সময়ের মধ্যে সব আসামিকে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। দীর্ঘ ১২ বছর ধরে আমরা ন্যায়বিচারের জন্য অপেক্ষা করছি।