নোয়াখালীর হাতিয়ায় তাঁতী দলের এক নেতার বাড়ি থেকে বাড়ি থেকে আলাউদ্দিন বেদন নামে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে আটক করা হয়েছে। ৭ মাস ধরে ওই তাঁতী দল নেতার বাড়িতে লুকিয়ে ছিলেন তিনি। বুধবার (৩০ জুলাই) দিবাগত রাতে উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের জোড়খালী গ্রাম থেকে তাকে আটক করা হয়।
জানা গেছে, ওই তাঁতী দল নেতার নাম সৈকত। তিনি বুড়িরচর ইউনিয়ন শাখার তাঁতী দল সভাপতি। অন্যদিকে পলাতক আওয়ামী লীগ নেতা
আলাউদ্দিন বেদন চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড হরিষপুর গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। তাঁতী দলের বুড়িরচর ইউনিয়ন শাখার সভাপতি সৈকত সম্পর্কে তার শ্যালক।
স্বজনেরা জানান, সরকার পরিবর্তনের পর আলাউদ্দিন বেদন তার শ্বশুরবাড়িতে আশ্রয় নেন। এই সুযোগে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে সৈকত তাঁর কাছ থেকে কয়েক ধাপে মোটা অঙ্কের টাকা নেন। এখন আটক হওয়ার পর তিনি কিছুই জানেন না বলে এড়িয়ে যান।
তাঁতী দল নেতা সৈকত বলেন, ‘আটক আলাউদ্দিন বেদন সম্পর্কে আমার দুলাভাই। কিন্তু তিনি আমাদের বাড়িতে পালিয়ে আছেন, এটা আমি জানতাম না। এ ছাড়া টাকা নেওয়ার বিষয়টি সঠিক নয়।’
এ বিষয়ে উপজেলা তাঁতী দলের সভাপতি মো. ফরহাদ উদ্দিন বলেন, ‘সৈকতের বাড়ি থেকে আওয়ামী লীগ নেতা আটকের বিষয়টি আমি শুনেছি। তাকে পালিয়ে থাকার বিষয়ে সৈকতের সহযোগিতার প্রমাণ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে গোপনে সংঘবদ্ধ হচ্ছে আওয়ামী লীগের কিছু লোক। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নিশ্চিত হয়ে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় জোড়খালী গ্রামের কালাম হাজির বাড়ির বাগান থেকে বেদনকে আটক করা হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তাঁর সঙ্গে থাকা আরও ১৫-২০ জন সহযোগী পালিয়ে যান। পরে তাঁর শ্বশুরবাড়িতে তল্লাশি করে ১০টি ককটেল পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আজমল হুদা বলেন, আটক আলাউদ্দিন বেদনকে ককটেলসহ আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে নাশকতায় জড়িত থাকার অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। তাঁর সঙ্গে থাকা সহযোগীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হবে।